Marxists Internet Archive
Bangla Section


অর্থনৈতিক ও দার্শনিক খসড়া

কার্ল মার্কস


সূচীপত্র

টীকা

১. এই পরিভাষাগুলো সরাসরি হেগেলের ব্যবহৃত পরিভাষা হতে নেয়া।
২. মার্ক্স এই লেখাতে জ্ঞবিজাতীয়করণঞ্চ ভাবটি বোঝাতে উশঢ়তয়ড়ড়নক্ষয়শফ এবং উশঢ়পক্ষনলধয়শফ এই দুঞ্চটি জার্মান পদ ব্যবহার করেছেন। প্রথমটির ক্রিয়া উশঢ়তয়ড়ড়নক্ষয়শফ এর আভিধানিক অর্থ জ্ঞজ্ঞআলাদা হওয়াঞ্চঞ্চ, জ্ঞজ্ঞপরিত্যাগ করাঞ্চঞ্চ, জ্ঞজ্ঞআলাদা করে ফেলাঞ্চঞ্চ, জ্ঞজ্ঞবিক্রি করাঞ্চঞ্চ, জ্ঞজ্ঞবিজাতীয় করাঞ্চঞ্চ (কোন অধিকার বা কারুর সম্পত্তি)। এই ভাষান্তরে আগের পদটি অর্থে জ্ঞজ্ঞবিজাতীয়করণঞ্চঞ্চ ব্যবহৃত হয়েছে। পরেরটির জন্য ব্যবহৃত হয়েছে জ্ঞজ্ঞবিচ্ছিন্নকরণঞ্চঞ্চ।
৩. জ্ঞজ্ঞপ্রজাতি-সত্তাঞ্চঞ্চ (ঋতঢ়ঢ়য়শফড়ংনড়নশ) পদটি লুডভিগ ফয়েরবাখের দর্শন হতে উৎসারিত, তিনি এটা সামগ্রিকভাবে মানুষ এবং মানব জাতি বোঝাতে ব্যবহার করেছেন।
৪. মার্ক্স এখানে প্রুধোঁর বই চয়ঞ্চনড়ঢ়-দন হয়ত রত সক্ষষসক্ষভনঢ়ন? এর কথা উল্লেখ করছেন।
৫. এই অনুচ্ছেদ হতে বোঝা যাচ্ছে, মার্ক্স এখানে মজুরীর ক্যাটেগরিটি ব্যাপক অর্থে প্রয়োগ করছেন- পুঁজিপতি এবং শ্রমিক শ্রেণীঞ্চর মাঝের বৈর সম্পর্কটি বোঝাতে।
৬. এখানে মনে হয়, স্বতন্ত্রের সিভিল সমাজের সদস্যতে পরিণত হবার ব্যাপারটা বোঝানো হচ্ছে। যাকে সম্পত্তি, বস্তুগত সম্পর্কের বলয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই বলয় আর সব সম্পর্ক নির্ধারণ করে। মার্ক্স এক্ষেত্রে সমাজের বস্তুগত সম্পর্ক বোঝাচ্ছেন।
৭. ১৮৩৪ সালের দরিদ্র আইন সংশোধনীটি বঞ্ঝিত দরিদ্রদের (শিশুসহ) কারখানার জায়গা ছাড়া অন্য জায়গায় সক্ষম বলে বিবেচনা করে তাদের কাজ করতে বাধ্য করে।
৮. পান্ডুলিপিতে আছে ড়নভশ পয়ক্ষ ড়ভদব ড়নররতড়ঢ় যা হেগেলের ব্যবহৃত পদ পয়ক্ষ ড়ভদব (জ্ঞজ্ঞনিজের জন্যঞ্চঞ্চ) এর একটি প্রকাশ, যা তশ ড়ভদব (জ্ঞজ্ঞনিজের মাঝঞ্চঞ্চ)-এর বিপরীত।
৯. ক্যামিলি দেস মঁলি রচিত জ্ঞছনৎষরয়ঢ়ভষশ ধন ঊক্ষতশদন নঢ় ধয় আতক্ষথতশঢ়ঞ্চঞ্চ, পারি হতে ১৭৯০ সালে ছাপা ১৬ নং সংখ্যার উল্লেখ।
১০.ফুঙ্কে রচিত ঈভন তয়ড় ধনক্ষ য়শথনড়দবক্ষতশযঢ়নক্ষ ঝবনভরথতক্ষযনভঢ় ধনড় ঋক্ষয়তধনভফনশঢ়বয়লড় বনক্ষৎষক্ষফনবনশধনশ গতদবঢ়নভরন, ১৮৩৯ এর উল্লেখ।
১১. তৃতীয় পান্ডুলিপি লেখা আছে মোটা একটা নোটবুকে। এই অংশেই মুখবন্ধের খসড়া, শেষ পৃষ্ঠাগুলোতে বুর্জোয়া সমাজে অর্থের ক্ষমতা নিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রবন্ধ লেখা আছে। বাকি ধারাবাহিকতা বিক্ষিপ্ত।
১২. য়ুটোপীয় কমিউনিজমের বিকাশের প্রথমদিকে তাদের প্রতিনিধিদের মাঝে আদিম, স্থুল সমানবাদী প্রবণতাঞ্চর উল্লেখ করছেন মার্ক্স। মধ্যযুগীয় সাম্যবাদী ধরণের সম্প্রদায়গুলোঞ্চর দু-একটাতে নারীদের ওপর সাধারণ অধিকারের ধারণা বজায় ছিল। এই দৃষ্টি অনুসারেই, ১৫৩৪- ৩৫ সালে ম্যূনসতের এর ক্ষমতা দখল করা আনা-ব্যাপটিস্টঞ্চরা বহুগামীতাকে চালু করার চেষ্টা করেন। জ্ঞজ্ঞসিভিটাস সলিসঞ্চঞ্চ (সূর্য নগরী) এর লেখক টমাস কেমপানোল্লা (১৭ঞ্চশ শতাব্দীর প্রথম দিক) তার আদর্শ সমাজে একগামীতাকে খারিজ করেন। আদি সাম্যবাদী ধরণের সম্প্রদায়গুলোতেও তিতীক্ষাবাদ এবং বিঞ্চান ও শিল্পঞ্চর প্রতি বৈরী আচরণের বৈশিষ্ট্য ছিল। এদের এই মনোভাবের কিছু বৈশিষ্ট্য ১৯ঞ্চশ শতাব্দীর কমিউনিস্ট ধারণাগুলো বয়ে নিয়েছিল, যেমন ১৮৩০ এবং ১৮৪০ সালের ফরাসি গুপ্ত সমিতির সদস্যরা এবং বাবুফের অনুসারীঞ্চরাও।
১৩. মার্ক্সের এই টীকা মূল পান্ডুলিপিতে ভুল জায়গায় ছিল।
১৪. এই অংশের পান্ডুলিপিতে বোঝা যাচ্ছে মার্ক্স তখনো তার পরিভাষা স্থির করে উঠতে পারেন নি। সমাজ বিবর্তনের ধারণায় তখনো ফয়েরবাখ তাঁকে ভালোভাবেই আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। মার্ক্সের এই পর্যায়ের ধারণা নিয়ে তুমুল বিতর্ক বিদ্যমান।
১৫. এই প্রকাশটি ইংরেজ ভূ-তত্ত্ববিদ স্যার চার্লস লায়ালঞ্চর তত্ত্ব উল্লেখ করছে। তিনি তার ঙক্ষভশদভসরনড় ষপ ঋনষরষফঁ (১৮৩০- ৩৩) গ্রন্থে পৃথিবীর ভূ-স্তরের বিবর্তন তত্ত্ব প্রদান করেন।
১৬. বিভিন্ন গবেষকরা এই বিবৃতির ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা করেন। অনেকে মনে করেন, মার্ক্স এখানে বাবুফ, তাঁর অনুসারীদের ধারণার মত স্থুল কমিউনিজম বোঝাচ্ছেন। মনে রাখতে হবে, মার্ক্স তখনো তাঁর পরিভাষাগুলোর সুনির্দিষ্ট মানে দাঁড় করান নি। মার্ক্স এখানে জ্ঞজ্ঞকমিউনিজমঞ্চঞ্চ বলতে কোন শ্রেণীহীন সমাজের উচ্চস্তর বোঝান নি (তার জন্য তিনি এই রচনায় জ্ঞজ্ঞসমাজতন্ত্রঞ্চঞ্চ বা জ্ঞজ্ঞমানবতাবাদের সমান কমিউনিজমঞ্চঞ্চ পদগুলো ব্যবহার করেছেন) বরং তা একটা বিপ্লবী রূপান্তর প্রক্রিয়ার সঞ্চালন। মার্ক্স জোর দিচ্ছেন যে, এই প্রক্রিয়া নিজেই কোন লক্ষ্য নয়, বরং তা উত্তরণকালীন হলেও মানুষের প্রামানিক দশা, এর মাঝ দিয়ে ভবিষ্যত সমাজ ব্যবস্থা অর্জন করার জন্য।
১৭. মার্ক্স জার্মান দার্শনিক ফিখ্‌টের সূত্র উল্লেখ করছেন বলে মনে হয়।
১৮. মার্ক্স তার কিছূ প্রাথমিক রচনায় জ্ঞথয়ক্ষফনক্ষরভদবন ঋনড়নররড়দবতপঢ়ঞ্চঞ্চ পদটি দুই অর্থে ব্যবহার করেছেন : (ক) বিস্তৃত অর্থে বস্তুগত সম্পর্কের সর্বমোট সমগ্রতা, যা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং ভাবাদর্শ নির্ধারণ করে, তা এবং (খ) সংকীর্ণার্থে, বুর্জোয়া সমাজ, পুঁজিবাদের বস্তুগত সম্পর্ক বোঝাতে।

পরবর্তী অংশ